জাহিদ সবুর এর জন্মস্থান, বয়স এবং জীবনী

বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তির কারিগর গুগলের অন্যতম একজন ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের একজন তরুণ ব্যক্তি যার নাম জাহিদ সবুর। তিনি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক। তার অফুরন্ত ইচ্ছা শক্তি এবং মেধা শক্তির কারণে বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্রতম দেশ থেকে পড়াশোনা করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করতে পেরেছেন। তিনি আমাদের বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত গর্বিত ব্যক্তি। বাংলাদেশের সকল জনগণ তাকে নিয়ে গর্ববোধ করে থাকেন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইডল। তাঁকে অনুসরণ করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অলাইনে তার জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।
সম্মানিত পাঠক, আপনারা যারা গুনি এই ব্যক্তির জীবনী সম্পর্কে জানতে পাশাপাশি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ কোথায় ? পড়াশোনা করেছেন ইত্যাদি বিষয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি সাজিয়েছি। বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যক্তিত্ব জাহিদ সবুর সম্পর্কে।এই ব্যক্তি সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গভীর আত্ম প্রকাশ করে থাকেন। গুনি এই ব্যক্তির জীবনী উল্লেখ করতে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।
জাহিদ সবুর এর জন্মস্থান
সারা বিশ্বের একজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব জাহিদ সবুর। তাঁর জন্মস্থান হল বাংলাদেশের একটি অবহেলিত অঞ্চল পটুয়াখালী জেলাতে। সেখানে তাঁর শৈশবের শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করেছেন। জাহিদ সবুর এর বয়স যখন সাত বছর তখন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এবং google যোগদানের পুর্বে পর্যন্ত তিনি দেশে এই অবস্থান করেছিলেন।
জাহিদ সবুর এর পরিবার
বিচক্ষণ এই ব্যক্তির পিতার নাম ডাঃ মোঃ শাহাজান এবং মাতার নাম লুৎফুন্নেসা বেগম। তাঁর পিতা ডাঃ মোঃ শাহজাহান সৌদি আরবের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। পাশাপাশি তার মা লুৎফুন্নেসা বেগম ছিলেন পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ।গুগলের প্রকৌশলী জাহিদ সবুর গুগলে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই অবস্থান করেছিলেন।
জাহিদ সবুর এর বর্তমান বয়স
অনলাইনে অনেকেই জাহিদ সবুরের বর্তমান বয়স সম্পর্কে জানতে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনাদের অবগতির জন্য আমরা জানিয়ে রাখছি যে বর্তমান জাহিদ সবুরের বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর। তিনি বর্তমানে গুগলের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। সারা বিশ্বের যে সকল সিনিয়র প্রকৌশলী রয়েছে google এ তার মধ্যে তিনি একজন। অতি সম্প্রতি তাকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। দেশের জনগণ মনে করছেন তিনি দেশে ফিরে আসলে দেশ ও জাতির অনেক উন্নতি সাধিত হবে।
জাহিদ সবুর এর জীবনী
শুধু সুদক্ষ ও বিচক্ষণ এই ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী আবিষ্কার করতে বেশ আগ্রহী ছিলেন। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার নেশা ছিল তার ছোটবেলা থেকেই। তিনি মনিপুর হাই স্কুল এ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারও পূর্ববর্তীতে স্কুল জীবনে তিনি তার বাসার পার্শ্ববর্তী কিন্টার গার্ডেনে পড়াশোনা করেছিলেন। মূলত তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পড়াশোনা করে সেই কিন্ডার গার্টেন স্কুলের মাধ্যমে প্রথম ছাত্র হিসেবে বৃত্তি পেয়েছিলেন এবং সেই সময়ের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাকে পুরস্কৃত করেছিলেন। সেই থেকে তিনি পড়াশুনার ব্যাপারে আরও বেশি আগ্রহ হয়ে উঠেন। বয়স যখন ১০ বছর তখন তিনি একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ করেন সেখানে তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। এর আগে তিনি টুকটাক ইলেকট্রনিক সার্কিট তৈরি করা শুরু করেছিলেন। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গুগলে যোগ দেন।
যার এত এত অর্জন এ সকল ব্যক্তি দেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করলে দেশ সমৃদ্ধশালী হতে বাধ্য হবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে বলে দেশের জনগণ মনে করেন। পাশাপাশি এই সময়ে নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োজিত করার পর দেশের বিনিয়োগ খাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এরই ধারাবাহিগতায় জাহিদ সবুরকে দেশের মানুষজন দেশে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। দেশের জনগণ মনে করছেন এই সকল ব্যক্তিরা দেশে অবস্থান করলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে ধাবিত হবে এবং দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে।