নীলফামারী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫। রমজানের ক্যালেন্ডার

“আহলান সাহলান খোশ আমদেদ মাহে রমজান” সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করতেছি। সম্মানিত মুসলিম ধর্ম অনুসারী ভাই ও বোনেরা রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের শুভ আগমন হতে যাচ্ছে আমাদের মাঝে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের নিয়ম মতে রোজা পালন করে মহান রাব্বুল আলামিন তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন। পবিত্র মাহে রমজানে প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নর-নারী জন্য রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে। শুধুমাত্র অসুস্থ ব্যক্তিরা এই রোজা থেকে বিরত থেকে পরবর্তীতে কা্জা রোজা আদায় করতে পারবেন। এছাড়াও যে সকল দুদ্ধদানকারী মা এবং গর্ভবতী মায়েরা যদি রোজা রাখতে ব্যর্থ হন তাহলে তারা পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা আদায় করতে পারবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা রয়েছে সেটা হল রাইয়ান দরজা এই দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে। এবং রোজাদার ব্যক্তিরা প্রবেশ করার পর সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। রোজাদার ব্যক্তিরা ছাড়া আর এই দরজা দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না- বুখারী শরীফ। যারা নীলফামারী জেলার বাসিন্দার তারা আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে ২০২৫ সালের রমজানের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী প্রতিবেদনের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। আপনারা মনোযোগ সহকারে আমাদের এই প্রতিবেদনটি পাঠ করুন।
রোজা বা সাওম শব্দের অর্থ কি
সাওম শব্দের অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। সাওম শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।সাওম শব্দের বহুবচন হচ্ছে সিয়াম। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক সাওম বা রোজা হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইবাদতের উদ্দেশ্যে পানাহার ও সকল প্রকার যৌন উদ্যেক থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন কুরআনুল কারিমে বলেন “আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা হতে উষার শুভ্ররেখা সুস্পষ্ট রূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর তোমরা নিসাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ন কর”।
নীলফামারী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫
রমজান মাস একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের মাস। তাই আমাদের সকলের উচিত রোজা সহ রমজান মাসের সকল ইবাদত সতর্কতার সাথে পালন করা। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে রমজানের সকল সওয়াব থাকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, যিনি নিয়মিত রমজানের আমল করেন এবং নেক আমলের নিয়ত করেন বিশেষ কোন ওজর ছাড়া রমজানের রোজা পালন করেন তিনি কেয়ামতের দিন আরশে আজিমের ছায়াতলে থাকতে পারবেন। রমজান মাসে এরকম হাদিস আছে, যদি কোন ব্যক্তি ওজরের কারণে রোজা পালন করতে না পারেন কিন্তু তার রোজা রাখার পূর্ণ নিয়ত ছিল এরকম অবস্থায়ও সে সাওয়াব পাবে। ইনশাআল্লাহ! বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে ২০২৫ সালের রমজান মাস ০১মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ থেকে শুরু হবে বলে সম্ভাব্য ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ প্রথম রমজান চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। সেই সূত্র ধরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে শবে বরাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগামী ৩১ শে মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে রমজান শেষ হবে বলে সম্ভাব্য ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলা শাখার ঘোষিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫এবং রমজানের ক্যালেন্ডার
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলার সম্মানীয় সভাপতি ও সদস্যগণ একটি যৌথ সভা আয়োজন করেন। এই সভায় ২০২৫ সালের রমজানের সময়সূচি ও একটি ক্যালেন্ডার এর অনুমতি প্রদান করেন। আমরা আমাদের প্রতিবেদনের এই অংশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলার ঘোষিত ২০২৫ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচিটি উপস্থাপন করছি। সম্মানিত নীলফামারী জেলার মুসলিম তৌহিদী জনতা আপনারা আমাদের প্রতিবেদনে যে সূচিটি প্রকাশ করা হয়েছে এখান থেকে এই সূচিটি অনুসরণ করে রমজানের রোজা গুলো পালন করতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
নীলফামারী জেলায় আজকের সেহরির শেষ সময়
বাংলাদেশের ০৮ বিভাগের একটি বিভাগ হচ্ছে রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগের অন্যতম একটি জেলা হচ্ছে নীলফামারী জেলা। এ জেলায় শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ মুসলিম ধর্ম অনুসারী। এবংএই জেলার অধিকাংশ মানুষজন আল্লাহ ভীরু এবং ন্যায়পরায়ণ ।এই সকল ন্যায় পরায়ন মানুষের জন্য আমরা আমাদের প্রতিবেদনে আজ পহেলা মার্চ ২০২৫ ইং তারিখের সেহরির শেষ সময় উপস্থাপন করছি ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখের দিবাগত রাতে ২০২৫ সালের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।এই রাতেই শেষ অংশে অর্থাৎ সুবহে সাদিকের পূর্বেই সেহরি গ্রহণ করা হবে। আজকে প্রথম সেহরির শেষ সময় ভোর ৫:১১ মিনিটে।
নীলফামারী জেলার আজকের ইফতারের সময়
আজ ০২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে নীলফামারী জেলার ইফতারের সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অনুযায়ী সন্ধ্যা ০৬ঃ ০৭ মিনিটে। নীলফামারী জেলার অন্তর্গত যে সকল উপজেলা রয়েছে যেমন ডিমলা উপজেলা, জলঢাকা উপজেলা, সৈয়দপুর উপজেলা ইত্যাদিও উপজেলা গুলোতে এই সময়সূচী অনুযায়ী এলাকার অবস্থানের ভিত্তিতে দূরত্ব অনুযায়ী এই সময়সূচী থেকে০১ মিনিট যোগ করে ইফতার গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। সারাদিন কষ্ট করে রোজা রেখে সময় অনুযায়ী রোজা রেখে ইফতার গ্রহণ করা একজন মুসলিম হিসেবে আপনার নৈতিক দায়িত্ব। এ ছাড়াও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে যথাসময়ে ইফতার গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুততার সহিত ইফতার শেষ করে মাগরিবের সালাত আদায়ের বিষয়েও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
শাবান মাস ও রমজান মাস একজন মুসলমানের জন্য বিশেষ বিশেষ ইবাদতের মাস। শাবান মাসের মধ্যে রয়েছে একটি মহিমান্বিত রজনী সেটা হচ্ছে শবে বরাত। আর রমজান মাসের তো অনেক বিশেষত্ব রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শবে কদরের রাত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে শবে কদরের রাতে মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাদের সকল চাওয়া পূর্ন করে দিবেন। সুতরাং আসুন আমরা সবাই মিলে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেই। রমজানের ইবাদত গুলোকে সুন্দরভাবে পালন করি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সন্তুষ্ট করি। আল্লাহ যেন সবার নেক হায়াত দান করে এবং সুন্দরভাবে রমজানের ইবাদত গুলো পালন করার তৌফিক দান করেন। আমিন।