Status-Caption-SMS

মেয়েদের জীবন নিয়ে বাস্তব কিছু কথা

মেয়ে মানুষের জীবন বড়ই অদ্ভুত। তারা কখনো বোন, কখনো মা, কখনো আবার শাশুড়ি মা ইত্যাদি রূপে নিজেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। সময়ের আবর্তনে জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে নিজেকে এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশে মিলিয়ে নিতে হয়। মেয়েরা বাবার বাড়িতে যখন অবস্থান করে তখন একরকম পরিবেশে এখন অবস্থান করে যেখানে তারা ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছে। পরবর্তীতে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেলে শশুর বাড়িতে আর এক পরিবেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। তখন ঐ মেয়েটাই হয়ে যায় কারো মা, কারও বৌমা, আবার কারো হয়ে যায় স্ত্রী। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাই মেয়েদেরকে সংগ্রাম করে চলতে হয় ।

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় মেয়েদের বাস্তব জীবন নিয়ে কিছু কথা। মেয়েদের জীবনের ঘটে যাওয়া চরম কিছু সত্য কথা আমরা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করব। এই বিষয়গুলো জানতে আপনারা অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তৈরি করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য আপনারা পেয়ে যাবেন।

আবেগি মেয়েদের নিয়ে কিছু কথা

মেয়েরা সাধারণত খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। তারা নরম মনের অধিকারীনী।সামান্য একটু রাগ দেখালেই তারা কান্না করে ফেলেন। পুরুষ মানুষ যতটা ব্যাথা বেদনা সহ্য করতে পারে একজন মেয়ে মানুষ তা পারে না। অল্প একটুতেই তাদের মন ভেঙ্গে যায়। তারা যাকে ভালবাসে তাকে অন্তর থেকেই ভালোবাসে। সন্তানের প্রতি মেয়েদের  আবেগ অনেক বেশি কাজ করে থাকে। আবেগের বয়সে মেয়েরা অনেক সময় ভুল করে থাকেন। ভুল মানুষের পিছনে পড়ে নিজের জীবনকে শেষ করে দেয়। সমাজের চতুর ব্যক্তি মেয়েদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে থাকেন। এ কারণেই সকল মেয়েদের প্রতি আমাদের আবেদন থাকবে যে আপনারা অবশ্যই নিজেদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন কুচক্রী লোকদের থেকে।”আবেগি মেয়েদের নিয়ে কিছু কথা”

  • “তোমাকে ভালবেসে আমি এ জীবন দিতে পারি, তুমি ছাড়া আমার জীবনের কোন মূল্য নেই।”
  • “তুমি আছো বলে আমি পৃথিবীতে বেঁচে আছি, তুমি না থাকলে আমিএকটি মিনিটও থাকতেপারবো না”।
  • “তোমার আমার ভালবাসা আবেগী নয়, তোমাকে আমি ভালোবাসি আমার মন থেকে”।
  • “সময় থাকতে আমার মূল্য বুঝলে না, যখন আমি থাকবো না তখন আমায় খুঁজে ফিরবে”।
  •  “যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছি, সেদিন থেকেই আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি”।
  •  “দিন যায় দিন আসে, তুমি ফিরে আসো না আর হয়তো আমি বেশি দিন বাঁচবো না”।
  • “তোমার সাথে দেখা না হওয়ায় আমি নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে হল তোমাকে আর একটু সময় দেই”।

অহংকারী মেয়েদের নিয়ে কিছু কথা

আমাদের সামাজে কিছু মেয়ে রয়েছে যারা প্রচুর পরিমাণে অহংকারী হয়ে থাকে হয়ে থাকেন। কিন্তু কখনোই অহংকার করা যাবে না কেননা “অহংকার পতনের মূল”। এছাড়াও হাদীস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী অহংকার করা শুধুমাত্র  আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। কোন মানুষ অহংকার করতে পারবে না। অহংকার করা মানুষের সাজে না। কেননা আমরা কেউ পৃথিবীতে  থাকবো না। অহংকারী মেয়েরা সাধারণ মানুষদেরকে অনেক সময় হেয় প্রতিপন্ন করে থাকেন। যা মোটেও উচিত নয়। অহংকারী মেয়েরা যে ধরনের হয়ে থাকেন সে সম্পর্কে আমাদের প্রতিবেদনের এই অংশে উল্লেখ করছি।

  • “বিনা প্রয়োজনে শখের বসে হাজার হাজার টাকা খরচ করে থাকেন”।
  •  “ফাস্টফুড খেতে রেস্টুরেন্ট যাওয়ার জন্য ব্যস্ততা দেখান”।
  •  “নিজের জন্মদিনের ব্যাপারে হাজার হাজার টাকা খরচ করার বিষয়ে উদগ্রীব হয়ে থাকেন”।
  •  “অলংকারের প্রতি বেশি আকর্ষণ প্রদর্শন করে থাকেন”।
  •  “নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেদেরকে ভালোবেসে তাদেরকে অপমান করে থাকেন”।
  •  “যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে নিজেকে মডান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান”।
  •  “পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে লালন করতে করতে নিজেকে পশ্চিমা দেশের নাগরিক মনে করেন”।

মেয়েদের জীবন নিয়ে বাস্তব কিছু কথা

সত্যিকার অর্থে মেয়েরা মায়ের জাতি। আমরা সকলেই কোন না কোন মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছি। মায়ের দুগ্ধ পান করেছি, মায়ের মুখের ভাষা থেকে আমরা কথা বলা শিখেছি, মায়ের হাত ধরে হাঁটতে শিখেছি, মায়ের হাতে খেয়ে বড় হয়েছি। এই মায়েরা আছে বলেই আমরা আজকে পৃথিবীতে বসবাস করছি, জীবন ধারণ করছি। কিন্তু আমরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সেই সকল মায়েদের প্রতি অবিচার ,অন্যায় এবং অবহেলা করে থাকি। যা কোন মায়েরা কল্পনাও করে থাকেন না যে আমার সন্তান আমাকে অবহেলা করবে, অবজ্ঞা করবে। শত কষ্টের মাঝেও মায়ের তার সন্তানকে ছেড়ে চলে যান না অথবা কখনোই সন্তানদেরকে অভিশাপ দেন না। মেয়ে মানুষের মনটাকে আল্লাহতালা এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে সবাইকে তারা আপন ভেবে সকলের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে ভালোবেসে থাকেন। মেয়েদের জীবনের বাস্তব কিছু কথা নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে নিম্নে সেটি উল্লেখ করা হচ্ছে-

  • “মেয়েদের জীবনে নির্দিষ্ট কোন বাড়ি থাকে না। তারা কখনো বাবার বাড়িতে, কখনো শ্বশুরবাড়িতে, কখনো ছেলের বাড়িতে, সর্বশেষ মৃত্যুর পর কবরস্থানের বাড়িতে”।
  • “মেয়েদের কখনো সংসার থাকে না। কখনো বাপের সংসারে আবার কখনো স্বামীর সংসারে অবস্থান করে”।
  • “মেয়েরা সন্তান জন্মদানের মাধ্যমেও লাঞ্ছিত হয়ে থাকে। পুরুষ শাসিত সমাজ বারবার মেয়ে সন্তান দানের জন্য মেয়েদেরকে দায়ী করে থাকেন”।
  • “মেয়েরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। রাস্তাঘাটে পুরুষদের কাছে ইভটিজিং এর শিকার হন”।
  • “মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে লাঞ্ছিত হন সর্বশেষ স্বামী সন্তানের কাছ থেকেও লাঞ্চিত হন”।
  • “মেয়েদের ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে না। তারা সমাজের কাছে অবহেলার পাত্রী। সমাজের কাছে সীমাবদ্ধ জীবন যাপনের পাত্রী”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *