National & International Day

 আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-স্লোগান, বক্তব্য

 আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-স্লোগান, বক্তব্যঃ সারা বিশ্বে ৮ই মার্চ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে থাকে। এটি পালন করা হয় নারীদের জাগরণের একাত্মতা ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিশ্বব্যাপী নারীদের সামাজিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সাফল্যকে ত্বরান্বিত করার একটি দিন বা দিবস। বাংলাদেশে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযথ মর্যদার সহীদ পালন করা হয়ে থাকে। এ বছরে ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর হতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের জন্য যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

“তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব”। কবির এই বাণী থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, একটি রাষ্ট্রে একজন শিক্ষিত নারীর ক্ষমতায়ন কতটা জরুরি। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আজকের এই দিনে সকল নারীদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি সকল নারীদেরকে উৎসর্গ করে সাজানো হয়েছে। আপনারা এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে নারী দিবসের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। আশা করছি প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করবেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫

নারী দিবস এমন একটি দিন যেখানে নারীদের অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটে, সাধারণ নারীদের সাহস ও দৃড়তার কাজে উৎসাহ প্রদান এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে নারীদের অংশগ্রহণে দেশের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারপরেও সারা বিশ্বেই শুধু বাংলাদেশে নয় আমরা লক্ষ্য করি যে লিঙ্গ বৈষম্য ঠিকই রয়েছে। তাই আজকে নারী দিবসে নারীদের অগ্রগতির বিষয়ে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়ে তাদের বৈষম্যকে দূর করে নেওয়া। বাংলাদেশের যথাযথ মর্যদার সহীদ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে, এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ, সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে এসেছেন এবং এদিন এই দিবসকে স্বাগত জানিয়ে তারা একত্রিতা ঘোষণা করছেন।

নারী দিবসের ইতিহাস

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য এবং কর্ম ঘন্টা নির্দিষ্ট করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাস্তায় নেমে এসেছিল সুতার কারখানার শ্রমিকেরা। সেই সময়ে রাজপথে শুরু হয় দমন প্রীড়ণের ঘটনা। ১৯০৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম নিউইয়র্কে নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯১০ সালে কোপেনহেগনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ১৭ টি দেশের ১০০ জন নারী অংশগ্রহণ করে। ১৯১১ সালে নারীদের সম অধিকার প্রতিষ্ঠার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হয়। ১৯১৪ সালে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ৮ই মার্চ নারী দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পূর্বেই অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই এই দিবসটি  হয় পালিত হওয়া শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এবং জাতিসংঘ এই এ দিবসটি পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহবান জানান। এরপর থেকে সারা বিশ্বে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এ বছরেও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর তাদের আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ঘোষণা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়–

অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন 

নারী ও কন্যার উন্নয়ন

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বক্তব্য

আমরা আমাদের প্রতিবেদনের এই অংশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি উপস্থিত বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে ধারণা প্রদান করছি। আপনারা এই ধারণাটি অনুসরণ করে একটি সুন্দর বক্তব্য প্রস্তুত করে আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থানে বক্তব্য গুলো উপস্থাপন করতে পারবেন

সম্মানিত উপস্থিতি,

আজকে নারী দিবস যা প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সমাজ সংস্কৃতি অর্থনীতি রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীর ভূমিকা মানসিক কার্য একটি রাষ্ট্র উন্নয়নশীল এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গেলে অবশ্যই নারীদের সমান অধিকারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সারা বিশ্বে লিঙ্গ ভেদাভেদ এখনো রয়ে গেছে।

তাই আসুন আজকে আমরা শপথ গ্রহণ করি নারীদের উন্নয়নের পথে আমরা কখনোই লিঙ্গ বৈষম্যকে বড় আকার ধারণ করতে দেবো না। কবি বলেছেন, “বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি চিরর কল্যাণকর অর্ধেক তার গড়িয়াছি নারি, অর্ধেক তার নর”। সুতারাং একজন নারীর অনুপস্থিতিতে একজন ভালো মানুষও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন নারীই পারে একজন নষ্ট মানুষকে অর্থাৎ মানসিকভাবে বিকার গ্রস্ত ব্যক্তি কে সঠিকভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার। আমরা নারীদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে লক্ষ্য করে থাকি কখনো মা ,কখনো বো, কখনো ভগ্নি ,কখনো আবার স্ত্রী হিসেবে আমাদের জীবনসঙ্গী। সুতরাং এই নারীদের কখনো অবহেলা করার সুযোগ নেই। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *