এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের লিরিক্স। Esho Ha Boishakh Esho Esho Song lyrics

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের প্রতিবেদন।– শুভ নববর্ষ ! প্রতিবছর আজকের এই দিনটিতে বাংলা নববর্ষের শুভ সূচনা হয়ে থাকে। বাংলা নববর্ষকে স্বাগতম জানাতে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।বাংলার নারীরা এই দিনে বিশেষ সাজে নিজেকে সজ্জিত করে রমলার বটমূলে উপস্থিত হয়ে থাকে।এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এই দিনটি উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে বিজয় র্যালি, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মেলা গুলোতে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বেচা কেনা হয়ে থাকে।
সম্মানিত পাঠক, নববর্ষের আজকের এই দিনে পান্তা আর ইলিশ মাছের বিশেষ প্রচলন রয়েছে। এই দিনটিতে বাঙালি জাতি পান্তা আর ইলিশ খেয়ে নিজেরদের ঐতিহ্যের জানান দিয়ে থাকেন। আমরা আমাদের আজকের প্রতিবেদনে বাংলার নববর্ষের একটি জনপ্রিয় গানের লিরিক্স দিয়ে সাজিয়েছি। “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” গানটি ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সমাদৃত রয়েছে। যারা আপনারা জনপ্রিয় এই গানের কথা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করছেন তাদেরকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের মূল শিল্পী
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন শিল্পী এই গানটি গেয়েছেন। “শাদী মোহাম্মদ” এই গানটি গেয়ে ব্যাপক সাড়া তুলেছেন সারা বাংলাদেশের মধ্যে। শাদী মোহাম্মদ এর আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে যেগুলো মানুষকে আকর্ষণ করে থাকে। “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” শাদী মোহাম্মদের একটি জনপ্রিয় গান। এই গানটি জানে না এমন কোন বাঙালি নেই। বৈশাখ মানেই এই গানটি গুনগুন করে হলেও সকল বাঙালি গিয়ে থাকেন। এসো হে বৈশাখ এসো এসো এই গানটির মাধ্যমে বাংলার জনগণ বৈশাখকে বরণ করে নেন।
এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের সুরকার ও গীতিকার
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতির এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার এবং সুরকার। তিনি অত্যান্ত যত্নের সহিত “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” এই গানটির কথাগুলো লিখেছেন। এবং অত্যন্ত দক্ষতার সহিত এই গানটির সুর করেছেন। সমগ্র বাঙালি জাতি পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানটির মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরে নববর্ষকে সাদরে গ্রহণ করে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু গান বা সংগীত বাংলার মানুষের মনের মধ্যে দাগ কেটে রয়েছে। যা রবীন্দ্রনাথকে অমর করে রাখবে। শিল্পকলা একাডেমিতে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিভিন্ন আয়োজন এর মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে থাকেন।
এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের লিরিক্স
জনপ্রিয় এই গানের কথা এবং জনপ্রিয় গানটি সম্পর্কে জানার জন্য যারা আগ্রহ প্রকাশ করছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের প্রতিদিনের এই অংশে গানের কথাগুলো উল্লেখ করছি।পহেলা বৈশাখের দিন সারা দেশের মানুষের মধ্যে বিশেষ উদ্দীপনার সৃষ্টি করে থাকে। গানটির প্রতিটি ছন্দে ছন্দে যেন বাঙালির মনের ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে।প্রতিবছর আজকের এই দিনে বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বিশেষ আয়োজন করে থাকে শিল্পকলা একাডেমী। এছাড়াও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়ে থাকে। সমগ্র বাঙালি বিশেষ এই দিনটিতে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মেলাতে পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিয়ে থাকেন।
এসো হে বৈশাখ এসো এসো -এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা
দূর হয়ে যাক, যাক, যাক
এসো এসো -এসো হে বৈশাখ এসো এসো।
যাক পুরাতন ও স্মৃতি,
যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
যাক পুরাতন স্মৃতি,
যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক যাক, যাক
এসো এসো- এসো হে বৈশাখ এসো এসো
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা,
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা,
রসেরো আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক, যাক, যাক
এসো এসো- এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা
দূর হয়ে যাক, যাক, যাক
এসো, এসো- এসো হে বৈশাখ এসো এসো।।
এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানটির রচিয়তা কে?
জনপ্রিয় এই গানটির রচিয়তা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই গানটি রচনা করেছেন। গানটির ভাষায় এত সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে যে যেকোনো বাঙালির হৃদয়ে তা দাগ কাটবে। এ কারণেই আজ এত বছর পরেও এই গানটির জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কমেনি। প্রতিটি বছর পহেলা বৈশাখ এলেই সারাদেশে সমস্বরে এই গানটি গাওয়া হয়। রমনার বটমূলে এই গানটির বিশেষ নিত্যানুষ্ঠানে গানটি বাজিয়ে নৃত্য প্রদান করা হয়। এছাড়াও দেশের বর্তমান জনপ্রিয় শিল্পীরা পয়লা বৈশাখের এই দিনে গানটি গেয়ে থাকেন। এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই গানটি নিয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। সেখানে বিজলীদের হাতে এই গানটি ভালো পরিবেশনের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।