চীন দেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সহজ উপায়

চিকিৎসক গ্রহণের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন পড়ে যায়। বাংলাদেশে অনেক রোগের সু চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হয় না বিধায় বিভিন্ন দেশে আমাদের যেতে হয়। সেই দিক বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চীনের সাথে চিকিৎসা ব্যাপারে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে চীনের কিছু সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে করে বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত রোগী যাওয়া আসা করতে পারে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষগণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
আপনারা যারা অনলাইনে চীন দেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন আপনাদের জন্য আমাদের আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে আপনার জন্য যদি আপনি চীন দেশে চিকিৎসার জন্য যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আপনার পরিবার পরিজনদের এ ব্যাপারে অবগত করতে পারবেন।
চীনের চিকিৎসার জন্য যেতে সহজ ভিসা প্রসেসিং
যেকোনো দেশে ভ্রমণ করতে গেলে অবশ্যই পাসপোর্ট এবং ভিসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে কারণেই বিদেশ ভ্রমণকারীদের অবশ্যই পাসপোর্ট করে নিতে হবে। এর পরবর্তী কার্যক্রম ভিসা প্রসেসিং করা। ভিসা প্রসেসিং আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজতর করা হয়েছে। বিশেষ করে চীন দেশে চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগী নিজেই বিদেশ ভ্রমন করতে পারেন না সে কারণেই পরিবার সহ অথবা পরিবারের যে কোন ব্যক্তি সহ চীন ভ্রমন করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্র ঐ ব্যক্তিরও পাসপোর্ট এবং ভিসার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান চীন দেশের চিকিৎসার জন্য আধুনিক ভিসা প্রসেসিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনারা সরাসরি ফোন করেও আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করে নিতে পারবেন। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস চীন দেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে বেশ কিছু নিয়ম পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন। সেদিক থেকে চীন দেশের পক্ষেও বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অনেকটাই সহজ হয়েছে। রোগীর সমস্যা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরি করা হয়েছে সেক্ষেত্রে জটিলতর রোগীদের জন্য এক দিনেই ভিসা প্রসেসিং এর সুব্যবস্থা রয়েছে। তাই আপনারা অযথা বিভিন্ন চক্রের সাথে জড়িত না হয়ে সরাসরি ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
চীন দেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সহজ উপায়
চীনে দেশের চিকিৎসা গ্রহনের জন্য সহজ কিছু মাধ্যম এবং উপায় তৈরি করেছেন বর্তমান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি সম্প্রতি চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে “গ্রিন চ্যানেল ভিসা” পদ্ধতি চালু করেছেন। এ পদ্ধতির মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশী রোগীরা শুধু চীন দেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমতিপত্র গ্রহণের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই এ বাধ্যবাধকতা বর্তমান সরকার তুলে নিয়েছেন। বাংলাদেশের যেসকল ট্রাভেল এজেন্সি গুলো রয়েছে সেগুলো এখন চিনে চিকিৎসা গ্রহণ করার ভ্রমণকারীদের ব্যাংক ডিপোজিট এবং রক্তের প্রমাণ স্বরূপ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবেন। বাংলাদেশের ভিসা সেন্টারে একটি আধুনিক ভিসা কাউন্টার কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে খুব দ্রুততার সহিত ভিসা প্রসেসিং করা কার্যক্রম করা হবে এবং ভিসা কারীদের আর লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হবে না। এছাড়াও ভিসা সংক্রান্ত নানান ধরনের জটিলতার জন্য বিশেষ হট লাইনের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। এই হট লাইনের নাম্বারগুলোর মাধ্যমে আপনারা ফোন করে সকল সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবেন ।
- ভিসা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান ও যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম্বার – ০২২২২২৬৬০১০৩,০১৭০৮৪৬৪৮০৯।
- Whatsapp নাম্বার এবং ডেডিকেডেট হট লাইন নাম্বার – ০১৮৮৫০৪১৩৬৪।
চীন দেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার জন্য যা যা লাগবে
চিকিৎসার জন্য যেতে হলে যেসব প্রসেসিং এর প্রয়োজন রয়েছে আমরা সেগুলো আমাদের প্রতিবেদনের এই অংশ উল্লেখ করছি। আপনারা এ সকল ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে মাধ্যমে অথবা ভিসা অফিসে যোগাযোগ করে আপনার ভিসাকে কনফার্ম করে নিন। সতর্কতামূলক আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের চক্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের ভিসা অফিস কিংবা পাসপোর্ট অফিসে বিভিন্ন ধরনের দালাল আমরা লক্ষ্য করতে পারি তাদের হাত থেকে আপনি নিজেকে এড়িয়ে চলবেন। যে কোন লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই রশিদ গ্রহণ করবেন।
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যা নিম্নপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ অবশিষ্ট রয়েছে।
- যে ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করছেন সে ব্যক্তির জন্য একটি আবেদন ফরম।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। অবশ্যই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা।
- চীনে আপনি যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন সে হাসপাতালের ইনভাইটেশন লেটার লাগবে।
- ব্যাংকের স্টেটমেন্ট লাগবে। সে ব্যাংকে অন্ততপক্ষে ১০ হাজার ডলার ডিপোজিট থাকবে।