হামজা চৌধুরী কোন দেশের ফুটবলার? কোন ক্লাবে খেলে? তাঁর জীবনী

দেশের অনেক কিংবদন্তি প্রিয়জন দেশের বাইরে অবস্থান করে থাকেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার সুবিধার্থে দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমান অনেক বিশিষ্টজন এবং মেধাবী ব্যক্তিরা। ফলে দেশ থেকে মেধাবী ব্যক্তিরা আমরা হারিয়ে ফেলি আমরা।সারা বিশ্বে বেশ কিছু মেধাবী ব্যক্তিত্ব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় পদে কর্মরত রয়েছে এবং তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে নতুন মাত্রার রূপ দিতে ভূমিকা পালন করছেন। তেমনি একজন ব্যক্তি হামজা দেওয়ান চৌধুরী। যিনি তার পেশা দারিত্বের কৃতিত্ব সারা বিশ্বকে চিনিয়ে দিয়েছেন।
সম্মানিত পাঠক, আপনারা যারা অনলাইনে বিশেষ এই ব্যক্তি হামজা চৌধুরী সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি কোন দেশের খেলোয়াড়? কোন ক্লাবে খেলেন? তার জন্মস্থান কোথায়? যাবতীয় বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করছেন আমরা আপনাকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করছি যে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশেষ এই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আপনারা ধৈর্য সহকারে প্রতিবেদনটির শেষ পর্যন্ত পাঠ করলে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
কে এই হামজা চৌধুরী?
ফুটবল বিশ্বের একজন কৃতিত্বমান ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। তিনি ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লীগের মধ্য মাঠের একজন খেলোয়ার।পাশাপাশি তিনি রক্ষণাত্মকক ফুটবলার হিসেবেও পরিচিত। তার অত্যন্ত ফুটবল কৌশলীর কারণে সারা বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছেন।তিনি বাংলাদেশের হয়ে মাঝ মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি ফুটবল খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন।হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে দেশের ফুটবল সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা হামজা চৌধুরীকে পেয়ে নিজেদের টিমের মধ্যে প্রান উজ্জ্বলতা ফিরে পেয়েছে। সর্বোপরি তিনি দেশের ফুটবলকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন বলে ফুটবল প্রেমীরা মনে করছেন।বাংলাদেশের ফুটবল অনেক দূর এগিয়ে যাক এটা আমাদের সকলের প্রত্যাশা। ইতিমধ্যে ফিফা রেংকিং থেকে বাংলাদেশ ফুটবল এর রেংকিং কিছুটা উন্নতি পেয়েছে।
হামজা দেওয়ান চৌধুরী এর জীবনী
হামজা দেওয়ান চৌধুরী ১৯৯৭ সালের অক্টোবর মাসের পহেলা অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। হামজা চৌধুরী ইংল্যান্ডের লেস্টারসায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগতভাবে তিনি একজন বাংলাদেশী মায়ের সন্তান। তার পিতা ছিলেন গ্রেনাডীয়।তিনি তার বাঙালি মায়ের কোলেই বড় হয়েছিলেন কেননা তার মা ছিলেন একজন বাংলাদেশী। শৈশবকালে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।তার মায়ের পৈতৃক নিবাস হলো বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। তার সৎ বাবা তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী ।এই সূত্রে হামজা চৌধুরী অনায়াসেই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান।হামজা চৌধুরীর তিন জন সন্তান রয়েছে। তিনি আরবিতে কুরআন অধ্যায়ন করেছেন। তার গ্রেনাডিয় পিতা এর মাধ্যমে তিনি গ্রেনেডা জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। ২০২১ সালে হামজা চৌধুরী এএফ ফাইনাল কাপ জয়ের পর তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা নিয়ে উদযাপন করেন। কারণ সে সময় ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল।
হামজা চৌধুরী কোন দেশের ফুটবলার?
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ইংল্যান্ডের একজন মিড ফিল্ডার। যিনি ফুটবল মাঠে মাঝ মাঠের খেলোয়াড়। অতি সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশের ছুটে এসেছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশন তাকে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। বাংলাদেশের ফুটবলেে হামজা চৌধরের ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তার ফুটবল নৈপুণ্যের কারণে দেশের ফুটবল আলোকিত হবে বলে ফুটবল প্রেমীরা ধারণা করছেন।
হামজা চৌধুরী কোন ক্লাবে খেলেন?
চৌধুরী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার সৎ পিতা গ্রানাডিয়ো হওয়ার কারণে তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এবং তাঁর ফুটবল নৈপূণ্য সারা বিশ্বে মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। তিনি ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লীগের চ্যাম্পিয়নশিপ শেফিল্ড ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব এর খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে নিজের কৃতিত্বকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ২০২৪ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি পেয়েছেন।সেই থেকে তিনি নিয়মিত জাতীয় দলের ফুটবলার হিসেবে খেলছেন।
বাংলাদেশের এই সকল উজ্জল নক্ষত্র যদি এভাবে দেশে ফিরে আসেন এবং দেশের জন্য কাজ করেন তাহলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ দেশে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন এবং সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি দেশের আর একজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব জনাব আশিক চৌধুরী দেশের ফিরে এসে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।। আরো একজন বিশেষ ব্যক্তি দেশে ফিরে এসেছেন তিনি হলেন ডঃ ইমাদুর রহমান। সারা বিশ্বে বিশেষ এই ব্যক্তির ব্যাপক সুনাম রয়েছে।