আশিক চৌধুরীর জন্মস্থান,বয়স ,কর্মজীবন এবং জীবনী

বর্তমান নতুন বাংলাদেশকে ঢেলে সাজাবে আশিক চৌধুরী এই প্রত্যাশা বাংলার সাধারণ জনগণের।আশিক চৌধুরীকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগতম জানিয়ে দেশে আনা হয়েছে। যিনি বাংলাদেশের একজন স্পাইডারম্যান হিসেবে কাজ করবেন তাঁর মেধা, শ্রম এবং শক্তি দিয়ে। জুলাইয়ের অনুভূত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে একটি সুবর্ণ সময় অতিক্রম করছে। এই সময়ে বাংলাদেশে নোবেল জয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় দেশের উন্নয়ন খাদে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আশিক চৌধুরী বাংলাদেশে পদার্পণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের মাত্রা ত্বরান্বিত করতে আশিক চৌধুরীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞগণ ধারণা প্রকাশ করছেন।
সম্মানিত পাঠক, আপনারা যারা এই আশিক চৌধুরী সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তথ্য অনুসন্ধান করছেন। আপনাদেরকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আপনারা কি জনাব আশিক চৌধুরী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, তার জীবনী, জন্মস্থান, পড়াশোনা, কর্মস্থল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আপনারা একটু ধৈর্য সহকারে প্রতিবেদনটি পাঠ করলে এ ব্যাপারে বিস্তার পেয়ে যাবেন।
কে এই আশিক চৌধুরী?
আশিক চৌধুরী একজন বিশ্ব বিখ্যাত স্কাইডাইভার। তিনি বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছিলেন ২০০৪ সালে। যা আজ পর্যন্ত গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড এ রেকর্ড হিসেবে রয়েছে। আশিক চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ থেকে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি একটি প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স এর মালিক। আশিক চৌধুরী বিটার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন ২০০৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর। বাংলাদেশের চাঁদপুর অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বসেরা মেধাবী এই ব্যক্তি।
আশিক চৌধুরীর জন্ম স্থান কোথায়?
বিশ্ব বিখ্যাত এই ব্যক্তি জন্মস্থান বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলায়। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় তাঁর বাবার পোস্টিং হয়েছিল। সে কারণেই তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনার প্রয়োজন পড়ে যায়। সাথে সাথে তার জীবনের সময় গুলো বিভিন্ন জায়গায় কাটে। যশোর জেলায় তাঁর জীবনের শৈশব কাল কেটে যায়। তিনি সিলেট জেলার ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয় ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেছিলেন।
আশিক চৌধুরীর বয়স কত?
অনেকেই অনলাইনে বর্তমান সময়ের চাঞ্চল্যকর ব্যক্তি আশিক চৌধুরীর বয়স সম্পর্কে জানতে চান। আমরা আপনাদেরকে অবগত করছি যে আশিক চৌধুরী এর বর্তমান বয়স আনুমানিক ৪০-৪৫ বছর। তিনি অত্যন্ত মেধা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি। তার কর্মজীবন সম্পর্কে যাদের জানা আছে তারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন তিনি কতটা মেধা সম্পন্ন। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মনে করছেন যে উনার হাত ধরে বাংলাদেশ সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারবে। ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে দেখিয়েছেন যা বাংলাদেশের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি এই অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগকারী নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
আশিক চৌধুরীর কর্মজীবন
আশিক চৌধুরী ২০০৭ সালের দিকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোতে আশিক চৌধুরী আঞ্চলিক অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ওই বছরেই আগস্ট মাসের দিকে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে কর্ম শুরু করেন। এরপর তিনি ২০১১ সালের মার্চ মাসে ল্যান্ডিং স্ট্রাটেজি এবং ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং বিভাগে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। ২০১২ সালের আশিক চৌধুরী লন্ডনের আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফিনান্সিয়াল ও স্টার্টেজি এনাজলিস্ট হিসেবে যোগদান করেন।এরপর ২০১৯ সালের মে মাসে ইউরোপ ও এশিয়ার ফাইন্যান্স প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। আশিক চৌধুরী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। কোন এক সময় তিনি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাষ্ট্রের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সিঙ্গাপুরের এইসএসবিসিতে চলে যান।
আসিফ চৌধুরীর বর্তমান পদমর্যাদা
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বিটার চেয়ারম্যান আসিক চৌধুরীকে ফোন করে বাংলাদেশি নিয়ে এসেছেন। সর্বসম্মতিকরমে আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। আশিক চৌধুরী দেশে এসে সামিটের প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগকারীদের মন জোগাতে সক্ষম হয়েছে যার কারণে বাংলাদেশের মানুষেরা তাঁকে সাধুবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনিই যে সকল পরিকল্পনা করেছেন তা বাস্তবায়িত হলে দেশের মানুষের বিশেষ কল্যাণ হবে। তারঁ পরিকল্পনা অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা দেশের জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীর কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।
আশিক চৌধুরীর জীবনী
আশিক চৌধুরী একজন অত্যন্ত সুদক্ষ এবংপরিশ্রমই ব্যক্তি। যিনি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন বাংলাদেশের প্রতি মাতৃভক্তি থাকার কারণে। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের একটি ফোন কলের মাধ্যমে আশিক চৌধুরীকে দেশে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এবং আশিক চৌধুরীকে বিটার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। যিনি তাঁর অদম্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ খাতকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমার কাজ হল বাংলাদেশকে বিক্রি করা অর্থাৎ বাংলাদেশের বিনিয়োগের হারকে উন্নতি করা। আশিক চৌধুরীর জীবনী উল্লেখ করতে গেলে তার জীবনের যে সকল কর্মদক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছেনসে সকল কিছুই উল্লেখ করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিবেদনের পরবর্তী অংশে আসিক চৌধুরীর কর্মজীবন উল্লেখ করছি। এ থেকে আপনারা তাঁর ব্যাপারে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
আশিক চৌধুরীর মত বাংলাদেশের অনেক মেধাবী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন যারা বাংলাদেশের জন্য রত্ন। তাই সাধারণ জনগণ সহ দেশের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গগণ এই সকল মেধাবী ব্যক্তিদেরকে দেশে আনার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের। এই সকল ব্যক্তিরা যদি দেশে ফিরে আসেন তাহলে দেশের উন্নয়ন সাধিত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে ধারণা করছেন এবং বাংলাদেশের প্রবাসী সকল ভাই ও বোনেরা জানিয়েছেন যে এ সকল মেধাবী ব্যক্তিবর্গ যদি দেশের প্রতি ভালোবেসে, ভালোবাসার টানে এসে অবস্থান করেন তাহলে দেশে অনেক উন্নতি সাধিত হবে। আশিক চৌধুরী এর মত মেধাবী ব্যক্তিদের ছোঁয়াতে দেশ আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাক এই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাসহ, আশিক চৌধুরী এবং দেশের মানুষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাক এই আশা আমাদের সকলের মনে।দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকার সমস্যা এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সকলের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এছাড়াও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা,শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন করা হলে দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে। দেশ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি আমাদেরকে রোধ করতে হবে। দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।